|
মোবাইলে ও অনলাইনে ফল
প্রতিবারের মতো এবারো শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইট এবং মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। http://www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েব সাইটে গিয়ে সকল বোর্ডের শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। যদিও একই দিনে একই সময়ে অধিক হিট পড়ায় রেজাল্ট জানতে বেশি সময় লাগতে পারে।
এছাড়াও দেশের সকল মোবাইল অপারেটরের মেসেজের মাধ্যমে ফল পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ফল জানতে যে কোনও মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবারও স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নাম্বারে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
বোর্ডের নামের প্রথম তিন ডিজিট হলো COM (কুমিল্লা), MAD (মাদ্রাসা), DHA (ঢাকা বোর্ড), RAJ (রাজশাহী), JES (যশোর), CHI (চট্টগ্রাম), BAR (বরিশাল), SYL (সিলেট) ও DIN (দিনাজপুর)।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমিল পরীক্ষার ফলাফল জানতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের রেজাল্ট জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TECH লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
ফল পুনঃনিরীক্ষা
আগামী ১৪ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে হবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইযেন্টিফিকেশন নম্বর-PIN) দেয়া হবে। আবেদনে রাজি থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে (,) কমা দিয়ে লিখতে হবে।
ভর্তি নিয়ে শঙ্কা
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী চাইলেই নিজের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না। আর এই নিয়ে উদ্বেগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের। এই আতঙ্কে নতুন মাত্র যোগ করেছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এইচএসসি পরীক্ষার মতো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে না তো এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মনে।
এবারের পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারের তদন্ত কমিটি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পায়। ঢাকা বোর্ডের অধীনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন করে নেয়া হয়েছিল।
নটরডেম কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলে মাহফুজুর রহমান তন্ময়। তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘আশা করছি ভালো ফলই করবো। তবে পরীক্ষার সময় বেশ কয়েকবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। এতে কিছুটা খারাপ লেগেছে আমরা পড়ে যে রেজাল্ট করবো অন্যরা না পড়েই একই ফল করবে। ভয় হয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে না তো? তাহলে হয়ত পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবো না।’
একাধিক অভিভাবক জানান, আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো ফল করবে এই প্রত্যাশা করি। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে মেধাবীরা বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। মেধার যোগ্যতার প্রকাশের সুযোগ বাধাগ্রস্থ করছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের তৎপরতা।’
প্রসঙ্গত, এবার এইচএসসির মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ২৪ হাজার ১৭১ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিমে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৫৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীন এইচএসসিতে (বিএম) ১ লাখ ৪ হাজার ৬৬৯ জন এবং ঢাকা বোর্ডের অধীন ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৯৭৭ জন।
১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ৮ জুন। গত ৩ এপ্রিল এ পরীক্ষা শুরু হয় দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে।
সুত্রঃ বাংলা মেইল