/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের আগের মতো দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। এত বছর ধরে শিক্ষার্থীদের ফল ওয়েব সাইটে পাওয়া গেলেও প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ফলাফল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বেলা ১১/১২টার দিকে সংগ্রহ করতে হতো। আর এই ফলাফল সংগ্রহের জন্য দূর-দূরান্তের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের একদিন আগেও জেলা সদরে আসতে হতো। কারণ, অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখান থেকে বেলা ১১/১২টার মধ্যে জেলা সদরে আসা সম্ভব নয়। বোর্ডের এই উদ্যোগের ফলে এবার থেকে অর্থ ও সময়ের অপচয় ছাড়াও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষাবোর্ডের এ উদ্যোগকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেই দেখছেন শিক্ষক-শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।
এবার প্রথমবারের মতো বোর্ডের অধীন ২০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ সুবিধা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পিযূষ দত্ত। তিনি বলেন, আগামী ১৩ আগস্ট উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটির ওয়েব সাইটে ফল আপলোড করে দেয়া হবে। ওই দিন দুপুর দেড়টায় নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সার্বিক ফলাফল জানতে পারবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আছে কিনা জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদিত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এর আগে বোর্ডের ওয়েবসাইটের সাব ডোমেইনে যুক্ত করা হয়েছে। এখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আলাদা সাব ডোমেইন রয়েছে। সেখানেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ফলাফল আপলোড করা হবে। এর মাধ্যমে কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই সার্বিক ফলাফল পাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এইচএসসি ছাড়াও এখন থেকে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলও একই ভাবে প্রকাশ করা হবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পিযূষ দত্ত।
এদিকে, এটি প্রযুক্তির একটি বড় ধরনের সুফল বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান। তিনি বলেন, এটা সত্য যে আগে ফলাফল সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অর্থ-সময় অপচয় ছাড়াও শারীরিক ভোগান্তি পোহাতে হতো। এক কথায় দূরের প্রতিষ্ঠানগুলোর খুব কষ্ট হতো। প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্ভোগ লাঘবে শিক্ষাবোর্ড এবার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। এর পিছনে সরকারের আন্তরিকতার পাশাপাশি বোর্ড কর্মকর্তাদের অবদানও রয়েছে মন্তব্য করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, যৌক্তিক সময়ে তাঁরা (বোর্ড কর্মকর্তারা) কাজটি করতে পেরেছেন। এ জন্য তাঁরা ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
অন্যদিকে, শিক্ষাবোর্ডের এই উদ্যোগের ফলে নিজেদের অর্থ-সময় অপচয় ছাড়াও ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন দূর-দূরান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা। সন্দ্বীপের সরকারি হাজী এবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. ফজলুল করিম বলেন, সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে আসতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগে। এ কারণে প্রতিবার ফলাফল প্রকাশের এক দিন আগে প্রতিষ্ঠানের কাউকে চট্টগ্রামে যেতে হয়। এরপর ফলাফল নিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। এবার থেকে ওয়েবসাইটে পাওয়া গেলে আমাদের মতো দূরের প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অর্থ ও সময় অপচয় হবেনা। পাশাপাশি শারীরিক ভোগান্তিও দূর হবে।
বান্দরবান জেলাধীন লামা মাতামুহুরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ওয়েবসাইটে পাওয়া গেলে আমাদের জন্য খুবই সুবিধা হবে। লামা থেকে বান্দরবান জেলা সদরে গিয়ে ফলাফল নিয়ে আসা খুবই কষ্টকর। বোর্ডের এই উদ্যোগের ফলে এবার থেকে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এবার (২০১৪ সালের) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৭ হাজার ৭০৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।