/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
অথবা প্রতিদিন একটি করে বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা নেওয়া। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
সরকারের গঠিত আন্তমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গত রোববার তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়। সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হলো। কমিটি ভবিষ্যতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া ঠেকাতে পাঁচ সেট প্রশ্ন ছেপে পরীক্ষার দিন সকালে লটারির মাধ্যমে সেট নির্ধারণ করে পরীক্ষা নেওয়াসহ চারটি মূল সুপারিশ করেছে।
বাকি তিনটি সুপারিশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি চলতি বছরের ঢাকা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র হুবহু ফাঁস হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর গণিতের প্রশ্ন সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কমিটি ফাঁসের সুনির্দিষ্ট উৎস বের করতে পারেনি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অবশ্যই পরিবর্তন আনা হবে। কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে প্রতিবেদনের সুপারিশসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। মূল চার সুপারিশের বাইরে যে ১৪টি সাধারণ সুপারিশ করা হয়েছে—সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, পাবলিক পরীক্ষার বিষয় অনধিক পাঁচটিতে আনা, বিজি প্রেস ছাড়াও অন্য কোথাও (উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া গেলে) প্রশ্ন ছাপানোর ব্যবস্থা করা, বিজি প্রেসের গোপনীয় কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে প্রতি ছয় মাস অন্তর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবেদন সংগ্রহ করা, বোর্ডের মডারেশন কক্ষে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও সংশোধনকারী মনোনয়নে আবর্তনমূলক পন্থা অবলম্বন করা, এমসিকিউ প্রশ্নের নম্বর কমানো এবং আইনে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিরূপ প্রতিক্রিয়া: অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষার মধ্যে বিরতি না দিলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ পড়বে। তাই ন্যূনতম হলেও বিরতি থাকা উচিত। অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের চিহ্নিত না করে এখন পরীক্ষার্থীদের ওপর চাপ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।’
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবে এমন একজন শিক্ষার্থী বলে, ‘একেবারে বিরতি না দেওয়াটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। তবে বর্তমানে পরীক্ষার মাঝে যে লম্বা বিরতি থাকে সেটা কমানো যেতে পারে।’