/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্যাম্পাস এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার বিকেল ৫টায় জরুরি সভার ডাক দিয়েছেন ভিসি ড. হারুনর রশীদ খান। কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় ব্যাচের ভর্তি সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগ উন্নয়ন ফি নেয়। কিন্তু আদৌ পর্যন্ত বিভাগের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়নি। অন্যদিকে উন্নয়ন ফিসহ খেলাধুলা, মেডিকেল, সিলেবাস, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, কমনরুম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, হল ফি-এর টাকা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফান্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাউর হয়ে গেলে ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উন্নয়নে ব্যয় করাসহ আবাসিক হলের দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।আন্দোলনের সপক্ষে সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, গণিত, মার্কেটিং ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
একইভাবে বেলা ১২ টার দিকে সব বিভাগের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সভার আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়রে উপাচার্য (ভিসি) ড. হারুনর রশীদ খান বলছেন, প্রতিটি বিভাগে সমান উন্নয়ন করার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফান্ডে অর্থ রাখা হয়েছে।
ভিসি মনে করেন শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন নিজেদের স্বার্থে নয়। কতিপয় শিক্ষকের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষর্থীদের আন্দোলনে উস্কে দিচ্ছে।চলমান আন্দোলনের সুরহার জন্য বুধবার বিকেলে এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।তিনি আশা প্রকাশ করেন ওই সভায় চলামান আন্দোলনের বিষয়টি সমাধান হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় উপাচার্য অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।এ ঘটনা জানাজানি হলে আন্দোলনের পথ বেছে নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।