|
স্কুল সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৫৫৪টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট ১৩ হাজার ১৯৯টি আবেদন ফরম জমা পড়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১ হাজার ১৩৬ টি ফরম। একাধিক শাখায় ফরম ওঠানোর দায়ে বাদ পড়ে ২ হাজার ৩৭১ জন। যাচাই বাছাই শেষে ভর্তি লটারিতে অংশ নেয় ৯ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী।
তবে এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারি কোটায় ১৬টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যারা লটারি ছাড়াই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বলেন, ‘অনেক অভিভাবকই একাধিক শাখায় ফরম তুলেছিলেন। কিন্তু সব শাখায় বাছাই পরীক্ষা একই সময় হওয়ায় তারা উপস্থিত হতে পারে নেই। কাগজপত্রে ভুলের কারণে অনেককেই আবার ডিসকোয়ালিফাই করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি নেয়া হবে ৫ শতাংশ (১৭ জন) বোন কোটায় ১২ শতাংশ (৪০ জন), প্রতিবন্ধী কোটায় ২ শতাংশ (৩ জন) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা আছে ২ শতাংশ আসন (৩জন)।
ইংরেজি মাধ্যমের ভর্তি ফি ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা এবং বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি ৮ হাজার টাকা।
রোববার সকাল থেকেই স্কুলের সিদ্ধেশ্বরী শাখায় ভর্তি লটারিতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লটারিতে সন্তানকে না টেকায় অনেকে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাদেরই একজন নাজনীন পারভীন। বাংলামেইলকে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্য বোনের কোটায় ফরম জমা দিয়েছি। কিন্তু বোন কোটায় তার রোল আসেনি। সাধারণ কোটায় রোল আসায় সে বাদ পড়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। স্কুল কর্তৃপক্ষ এজন্য দায়ী।’
অপর অভিভাবক রোমান হোসেন বলেন, ‘লটারি ঠিকমতো হচ্ছে কি না, আমরা সন্দিহান। অনেক সময় লটারির নাম করে নিজেদের লোকজনকে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। লটারির বিষয়টি স্বচ্ছ রাখা উচিত।’
তবে অভিভাবকদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বলেন, ‘লটারি খুব সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবেই হচ্ছে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তসলিমা বেগম ও ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যরা উপস্থিত আছেন। সুতরাং এতে অস্বচ্ছতার কোন সুযোগ নেই।’
সুত্রঃ বাংলা মেইল