তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে না পারায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ও অনেকটা ক্ষতির মুখে পরবে।

জানা গেছে, রাবির প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম সময়সূচি দেওয়া হয় গত ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর। ওই সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেয়া হলেও ১৮ দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি থাকার কারণে তা পরিবর্তন করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি দেওয়া হয় ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর। তবে পুননির্ধারিত সময়ে আবারও বিরোধী জোট অবরোধ কর্মসূচি দেয়ায় ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর করা হয়। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি আগে থেকে নির্ধারিত থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারও ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে।

আগামী  ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা নেওয়া কথা আছে। এ মাসের শেষের দিকে ভর্তি পরীক্ষা তারিখ নির্ধারণ করলেও বিশ্ববিদ্যাললয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো ইউনিটের সময়সূচি প্রকাশ করেনি। তাই দেশের এই চলমান পরিস্থিতির কারণে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে মত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

এবার পেছালে ভর্তি পরীক্ষা কবে নাগাত নেয়া হতে পারে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সাদেকুল আরেফিন মাতিন বাংলামেইলকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের বাহিরে আছেন, তিনি আসার পরেই সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।